সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েত পাড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম বাদলকে সাদা পোশাক দারি কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। আজ ২৪ অক্টোবর বিকেল প্রায় ৩টার দিকে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালুবাজার থেকে বাদল সহ ৩ জন কে তুলে নিয়ে যায়।
বাকী দু জনের মধ্যে একজন যুবলীগ কর্মী শাকিল অপর জন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিল। ঔ তিন জন নিখোজের পর থেকে রূপগঞ্জে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গাউছিয়া ঢাকা – সিলেট মহাসড়কে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুব লীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন সংবাদচর্চাকে বলেন ,কায়েত পাড়া ইউনিয়নের বড়ালুবাজার থেকে বিকাল আনুমানিক ২ টা ৫০ মিনিট বা ৩ টার দিকে একটি কালো হাইসে সাদা পোশাক ধারী কিছু লোক এসে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম বাদল ,যুবলীগ কর্মীকে শাকিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিল হোসেন কে তুলে নিয়ে যায়। গাড়ীর নাম্বার ১৮৮৯। ঢাকা মেট্র ১৩১৭ অথবা ১৮।
তিনি আরো বলেন, বাদল নিখোঁজের ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি ,জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। বাদলকে তুলে নেয়ার বিষয়টি পুলিশ র্যাব অস্বীকার করেছে। আমরা বাদলের সন্ধানের দাবি ভূলতা -গাউছিয়ার ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করছি। যতক্ষণ সন্ধান না পাব ততক্ষণ আমরা ছাত্রলীগ যুবলীগ আ.লীগ রাস্তায় অবস্থান করব।
বাদলের ভাই মুকুল ভূইয়া জানান, বিকেল কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় হাবিবুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলার রহমান ভূইয়া বাদল বড়ালু এলাকা থেকে নিজ গ্রাম ইছাখালীর দিকে আসছিলেন। এসময় একদল সাদা পোশাকধারী লোক নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একটি মাইক্রোবাস যোগে তার পথরোধ করে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান পাচ্ছেন না পরিবার।
রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম শিকদার সংবাদচর্চা বলেন, আমরা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল, যুবলীগের সভাপতি বাদল,যুবলীগ কর্মী শাকিলকে অপহরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপহৃত ৩ জনকে আমরা জীবিত ফিরে পেতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের ফেরত না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।
র্যাব-১১’র পরিচালক কর্ণেল রাসেল বলেন , আমার জানা মতে আমাদের কোন টিম আজ রূপগঞ্জে ছিল না। রূপগঞ্জের দায়িত্বে থাকা র্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার জসিমের সাথে কথা বলতে পারেন।
র্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আজ রূপগঞ্জে কোন অভিযান পরিচালনা করি নি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন বলেন, রূপগঞ্জে আমাদের কোন টিম আজ অভিযান চালায় নি। তবে এএসপি স্যার বার বার জিজ্ঞেস করেছেন, খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমাদের কোন টিম রূপগঞ্জে যায় নি।
র্যাবের এসপি আলেক সংবাদচর্চাকে বলেন ,আমরা পরিস্কার বলতে চাই আমরা সফিকুল ইসলাম বাদল নামে কোন যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করি নাই। নিখোঁজের খবর পেয়েছি। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বাদল অপহরনের ঘটনা শুনেছি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন দপ্তর তাকে তুলে নিয়েছে এমনটা আমি নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে গত কয়েকদিনের গার্মেন্ট কর্মীদের আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধের ফলে এমনিতেই অচালবস্থা তৈরী হয়েছিল। এরপর আওয়ামী কর্মী সমর্থকদের অবরোধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন জনগন।